আট-আটটি ম্যাচ খেলে মাত্র দুটি জয়। মুশফিক-আফ্রিদিদের দলের এ কী হাল! আশ্চর্যের বিষয় হলো, এখনো কিন্তু সেই সিলেটের টিকে আছে পরের রাউন্ড খেলার আশা। আজ তৃতীয় জয় তুলে নিয়ে অঙ্কের সমীকরণে টুর্নামেন্টে এখনো টিকে থাকল সিলেট সুপারস্টারস।
ম্যাচ শুরুর আগেই সমীকরণটা জানা ছিল দুই দলের। প্রতিযোগিতায় নিজেদের টিকিয়ে রাখতে হলে সিলেটকে জিততেই হতো। আর ঢাকার ছিল কোয়ালিফায়িং পর্বের টিকিট কেটে ফেলার সুযোগ। সে লড়াইয়ে আপাতত জয়ী সিলেট। ঢাকা ডায়নামাইটসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টের শেষ চারের লড়াইকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত টেনে নিল সিলেট।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৫৭ রানের ভালো স্কোরই গড়েছিল ঢাকা। গত ম্যাচের মতো আজও জুয়া খেলল তারা। ইয়াসির শাহকে ওপেন করতে পাঠিয়ে খেলা জুয়াটা অবশ্য বুমেরাং হয়ে ফিরেছে। ১৮ বলে ৮ রান নিয়ে দলকে উল্টো চাপে ফেলে দেন পাকিস্তানি এই লেগ স্পিনার। ফরহাদ রেজা, সাঙ্গাকারা, নাসির হোসেন মিলে দলকে মোটামুটি এক ভিত্তি এনে দিলেও রান তোলার গতিটা ছিল বেশ কম। ১৬ ওভার শেষেও ঢাকার স্কোর ছিল মাত্র ১০০।
বিপিএলে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো বোলিংয়ের সুযোগ পেয়ে দারুণ বল করেছেন আবদুর রাজ্জাক। এই বাঁহাতি স্পিনার ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন। শেষ দিকে হালকা একটু ঝড় তুলে স্কোরটা ১৫৭তে নিয়ে যান ম্যালকম ওয়ালার ও মোসাদ্দেক হোসেন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে আগ্রাসী ভঙ্গিতে ব্যাট করেছেন সিলেটের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানেরা। ৩৬ রানের মাথায় জশুয়া কব আউট হয়ে গেলেও রবি বোপারা ও জুনায়েদ সিদ্দিক মিলে রান তুলেছেন বেশ দ্রুত। ১২.২ ওভারেই ১০০ তুলে ফেলেন এই দুজন। ফিফটি পেয়েছেন দুজনই। কিন্তু ব্যক্তিগত পঞ্চাশ করার পরপরই দুজনেই আউট হয়ে যান। হঠাৎ করেই চাপে পরে যায় সিলেট দল। এতে পুরোপুরি অবদান মুস্তাফিজের। কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে তিনিই ম্যাচটিকে নিয়ে গেছেন শেষ ওভারে।
ফরহাদ রেজার করা শেষ ওভারে সিলেটের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। সোহেল তানভীরকে আউট করে খেলায় উত্তেজনাও এনে দিয়েছিলেন রেজা। কিন্তু ৩ বলে ৮ রান দরকার এমন অবস্থায় শহীদ আফ্রিদির টানা দুই বলে দুই ছয় জয় এনে দেয় সিলেটকে। আফ্রিদির সামনে শেষ ওভারে ফরহাদকে পাঠানোও এক রকম জুয়াই ছিল বটে।